আজ || মঙ্গলবার, ০৩ Jun ২০২৫
শিরোনাম :
  বাহরাইনে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে ৫৪-তম স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা       ফেনীর দাগনভূঞায় ছোট ফেনী নদীর আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ, জরিমানা       ফেনীর দাগনভূঞায় খামারীদের মাঝে ঘাস কাটার যন্ত্র ও সাইলেজ তৈরির উপকরণ বিতরণ       রাজাপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত       দাগনভূঞায় জে.কে ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার বিতরণ       সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই বাহরাইনে ঈদুল ফিতর উদযাপন       শ্রমিকদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছেন কুমিল্লা প্রবাসী কল্যান ফোরাম বাহরাইন       বাহরাইনে আদনান গেইট কনস্ট্রাকশন কোম্পানির উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ       দাগনভূঞায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা ও ইফতার       ফেনী ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন    
 


শেষ পর্যন্ত গার্মেন্টস বন্ধ থাকার সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে

অনলাইন ডেস্ক :

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দ্বিতীয় দফা দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেও রপ্তানিমুখী পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা কারখানা খোলা রাখার অনুরোধ জানালেও সরকার তা মেনে নেয়নি। করোনা সংক্রমণ কমাতে এবার সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এতে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব পোশাক কারখানা বন্ধ থাকছে।

এদিকে পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনাভাইরাসের কারণে দুই সপ্তাহ কারখানা বন্ধ রাখায় বিদেশি ক্রেতারা হাত ছাড়া হয়ে যাবে। একইসঙ্গে তৈরি পোশাকের অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। আগামীতে আরও অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়ে যাবে। এতে নানাভাবে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করছেন তারা।

অন্যদিকে শ্রমিকনেতারা বলছেন, কারখানা বন্ধের অজুহাতে শ্রমিকের জুলাই মাসের বেতন কম দেয়ার সুযোগ খুঁজতে পারেন কারখানার মালিকরা। সে রকম কিছু ঘটলে সরকারের হস্তক্ষেপ লাগবে।

করোনা সংক্রমণ কমাতে চলতি বছরের এপ্রিলে কঠোর লকডাউন জারি করা হলেও রপ্তানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা উৎপাদন চালানোর সুযোগ পায়। কিন্তু এবার সেই সুযোগ নেই। গতকাল শুক্রবার ২৩ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা সংক্রমণ কমাতে বিধিনিষেধ আগের চেয়ে কঠোর হবে। মাঠে থাকবে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনা সদস্যরা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অফিস আদালত, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সবকিছু বন্ধ থাকবে। এ পর্যন্ত যত সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে সেভাবেই চলবে। যেহেতু মানুষের প্রয়োজন হবে না বাইরে আসার, আগে অফিস আদালতে যেতে হতো, গার্মেন্টস কারখানায় যেতে হতো, এবার তা হবে না। তাই গতবারের চেয়েও বিধিনিষেধ কঠোর থাকবে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কারখানা খোলার অনুমতির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা অনুরোধ করেই যাবো- যাতে কারখানা খুলে দেয়া হয়। যত দ্রুত সম্ভব শ্রমিকদের শ্রম অঞ্চলে আসার ব্যবস্থা করা দরকার। এতে শ্রমিকদের টিকা কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে যাবে। তৈরি পোশাকখাত করোনামুক্ত ও নিরাপদ থাকবে।


Top